বয়স, একটা উপলব্ধি

হিংসা ভাগ হয়, আবর্জনা ছড়ায় সহজে, শুভত্ব ঢেকে থাকে,
হয়তো হিংসা আর ঋণাত্মকতাই আমাদের দেখতে বেশ ভালো লাগে,
শত প্রতিভা থাকলেও ব্যক্তিত্বের অন্ধকার কোনায় চোখ যায়,
অন্ধকার তাড়াতে গিয়ে ওগুলোই আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়,

দেখতে যা চাই না, সেটাই দেখা যায় চারপাশে,
কাছের মানুষদের জানালে চোখের সমস্যার কথা বলে,
ভেতরে নোংরা বাইরে ভালো সেজে থাকার তকমা দেয়,
কেউ দু মুখো সাপ তো কেউ আবার দু নৌকোয় পা দিয়ে চলার কথা বলে,

সবার মন সবার মতো, নিজের সমাধানে সেই দর্শন বহিঃস্কৃত,
সবার আগে সীমাহীন নিজের মনের শুভত্ব, অন্যের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়া হলো যে, তারই ফল তো,
সবাই এক সমাজের অংশ, তারা যে নয় বহির্ভূত,
উপলব্ধিতে নেই তাই হয়তো গুরুত্ব অর্জনের নানান মাধ্যম অবলম্বীত,

অন্ধকার এ মহাবিশ্বে সর্বত্র, আলো রয়েছে কয়টুকু?
আলোর দিকে গুরুত্ব শুধু অথচ আঁধারেই রয়ে গেছে চরম সুখটুকু,
কিভাবে হবে সে বহির্ভূত যেখানে সবার জীবনে সে আশ্রিত,
উন্মুক্ততা বইয়ের মলাটে, পাতায় যে আজও রাস্তাগুলো সংকীর্ণ,

নিজের পছন্দের গুরুত্ব যত বাড়তে থাকবে সময়ের সাথে,
বইয়ের মলাটে স্বার্থপরতার দাগের সাথে সাথে পাতায় চরিত্রের সংখ্যা কমতে থাকে,
বিশ্লেষণ কে করছে তার ওপরই যে সবকিছু নির্ভর করে,
আদৌ কি কেউ দেখেছে আশেপাশের চরিত্রগুলোর আরো কোনো দিক আছে?

বিশ্লেষনকারীর ধৈর্য্য আর তার অভিজ্ঞতাই যখন শেষ কথা বলে,
তখন আদৌ কি প্রয়োজন, মলাটে কি রয়েছে তার প্রতি সচেতন হতে,
অনেক ভদ্র সুশ্রী মলাটের তলায় নোংরা পাতাগুলো ঢাকা থাকে,
আবার অনেক ধুলো ভরা মলাটের তলায় সাদা পাতাগুলো অক্ষুন্ন থাকে,

খুঁজে দেখায় ক্লান্তি, কৌতূহলে বিরাম টানে,
আর তখনই অন্যেরা নয়, নিজের উপলব্ধি শেষ কথা বলে,
কোনটা শুরু কোনটা শেষ সবটা যদিও আপেক্ষিক,
ভালো বইগুলো এভাবেই অন্ধকারের বশে বশিভূত হয় ঠিক,

বশিভূতদের ভুল বোঝা হয়, উপেক্ষিত হতে শুরু করে তারা,
নিজের গুরুত্ব বজায় রাখতে কিছু পদক্ষেপ আবার অবলম্বন করে ওরা,
অন্ধকার না নোংরা নাকি নিজের পছন্দসই বিশ্লেষণ, তোয়াক্কা করা হয়না,
নিজের দর্শনের স্বীকৃতি খোঁজা চলে, চারপাশটা হতে থাকে আরো ফাঁকা,

আত্মবিশ্বাসী অনুপ্রেরিতরা যতটা না ক্ষতিকর, ক্ষতিকর এই উপেক্ষিতরাও ততখানি,
অনেক খুন হয় ওদের হাতে কিন্তু সাজা নেই যেহেতু বয়স্ক বলে তাদের মানি,
নিজের না বলাদের আর অভিজ্ঞতাদের ওজন যখন অনেক হয়ে আসে,
চেষ্টাটা আর করা হয়না তবু চেষ্টা তারাই সবচেয়ে বেশি করে,

কেউ মারছে, কেউ মারতে বলছে, কারো উদ্দেশ্য কারো হাতে চরিতার্থ হচ্ছে,
বয়স বাড়ছে, দর্শন, উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতাদের বোঝা বাড়ছে,
ক্লান্ত বয়স্করা ভুল বুঝছে, আর তৈরী করছে সেই অনুযায়ী রাস্তা,
পরিবারে, সমাজে সবার প্রভাব সবার ওপর পড়ে, এটুকুই উপেক্ষিত এই যা।

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s