পরিবেশ পাল্টাচ্ছে, পরিবেশ পাল্টাচ্ছে,
ওরে কে আছিস, দরজা সামলা পরিবেশ পাল্টাচ্ছে,
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ঋতুর প্রত্যেকদিন তর্জমা পাল্টাচ্ছে,
ওরে কে আছিস, দরজা সামলা, চারদিকের পরিবেশ পাল্টাচ্ছে,
আগে মরসুমি ফলের একটা সংজ্ঞা ছিল, দেখা মিলতো নির্দিষ্ট সময়ে,
দিন গুনতাম সবাই, কল্পনা আর অপেক্ষায়,
স্বাদের সাথে সময়ের সম্পর্ক ছিল, কোনোরকম বিভ্রান্তি বা দ্বন্ধ ছিল না,
আজকের নাগরিকরা সেই অপেক্ষার স্বাদই যেন ঠিক জানে না,
বর্ষা কালে কালো জাম ছিল, ভাদ্রতে বাতাবি লেবু,
আজকাল তো শীত কালেও আম পাওয়া যায়, বর্ষাকালেও লিচু,
সংরক্ষণ রয়েছে সমস্ত কিছুরই কিন্তু বোধহয় তা খাটো পরিবেশের কাছে,
ওরে কে আছিস, দরজা সামলা, আসে পাশের পরিবেশ যে পাল্টাচ্ছে,
সবজি ফলের নাহয় সময় হয়, সংরক্ষনের হাত ধরে অপেক্ষার বিনাশ করেছি,
তারই মাঝে বর্ষা ঋতুর বাকি ঋতুর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হতে দেখেছি,
সবার সঙ্গী এই বর্ষা কাল, কি শীত বা কি শরৎ কাল,
হাপিয়ে মৌলিক আজ যৌগিককে আপন করেছে,
ওরে কে আছিস, দরজা সামলা, আসে পাশের পরিবেশটা যে পাল্টে গেছে,
ফসল কাটার, ফসল বোনার সময় এখনো ঠিক পাল্টায় নি,
তবু ভারতে বসে চাষবাস শিখে, ভারত আজও কৃষিতে প্রথম হতে পারেনি,
প্রযুক্তি জীবন সহজ করেছে, গুনের সাথে পরিমানের সম্পর্ক এনেছে, তবু প্রকৃতিকে আপত্তি জানাতে ভোলেনি,
ক্ষুদ্র প্রাণী নিজ অহংকারের বোঝা প্রকৃতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে, একবারও যে পিছপা হয়নি,
ওরে কে আছিস, দরজা সামলা, ঘন ঘন পাল্টে ফেলছে চরিত্র, আমার আসে পাশের প্রকৃতি,
বৈশাখ মাসে ঝড় হতো খুব, বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ছিল,
সারা দিন গরমের পর কোথাও কোথাও একটু শিলাবৃষ্টির ছোঁয়াও ছিল,
এখন সে ঝড় যখন তখন, কি ফাল্গুন কি চৈত্র,
বর্তমানে কালবৈশাখীর সাথে স্থান পেতে চলেছে কালফাল্গুনী ও কালচৈত্রিও,
ইংরেজদের কবিতা বিখ্যাত, ইংরেজি ভাষার ছড়াছড়ি,
যখন তখন বৃষ্টি নেমে আসে বলে তারা বৃষ্টিকে দিতো গালাগালি,
তাদের দেশের আবহাওয়াও যেন ভারতবর্ষ রপ্ত করেছে,
সমস্ত ঋতুতেই বর্ষার উপস্থিতি আজ দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখেছে,
কাল চৈত্রী আজ বারবার যেন এই আহ্বানই জানাচ্ছে,
ভবিষৎ প্রজন্মের কথা ভেবে, ওরে কে আছিস, দরজা সামলা, পরিবেশ নিজের চরিত্র পাল্টাচ্ছে।