লিখি চলি আমি আমার মতো, তুমি দেখো আমার কীর্তিকলাপ তোমার মতো,
লেখা চলা বা বলাতে যদি ঘটে মতের বা পরিবেশনার অমিল ,ওমনিই শুরু হয় ষড়যন্ত্র,
প্রতিষ্ঠাতে তোমার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট, নিবেশ হয় আবেগতাড়িত কত না প্রচেষ্টা, যুক্তি আর তক্কো,
প্রভাবিত ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার দৌড়ে প্রতিপদে আজ মানুষ কত না ব্যস্ত আর উদ্যত,
সমস্ত কৃতকর্মের পশ্চাতে একটি সঠিকের অস্তিত্ব,
তবু সেই সঠিককে প্রতিষ্ঠিত ও পক্ষে যুক্তির প্রদর্শন, অনবরত মুখের বাক্যে আর মন্তব্যে কেন?
জবাব দিতে হবে সর্বত্র, সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করতে হবে,
যেন এরকম প্রভাব বিস্তারে, সমৃদ্ধ হওয়ার কত না পথ প্রশস্ত হবে,
তবু উত্তর দিতে হবে, জাহির করতে হবে নিজেকে,
নইলে ব্যক্তিত্বহীনতার পাশাপাশি না জানি আরো কত কি তকমার ভারই না বহন করতে হবে,
ব্যাঙ্গাত্মক বক্তব্য আর মানুষের হাঁসির পাত্র হতে হবে,
তাই বোধয় নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান রাখতে হবে, সর্বত্র তাই উত্তর দিতে হবে,
তাৎক্ষণিক উত্তরেরই জনপ্রিয়তা, না দিতে পারলে সে মানবজীবন বৃথা,
বক্তব্য ও মন্তব্যতাড়িত কর্মের শোরগোল তাও একটুআধটু যদি পড়তো ধরা,
কল্পনা প্রসূত কাল্পনিক সম্মানের অধিকারী সমস্ত ব্যক্তিত্ব,
কাল্পনিক সমাজের নাগরিকেরা সচেতন, রক্ষার্থে নিজ নিজ ব্যক্তিত্ব।
নীতি বাক্য পাঠ, নানান প্রেক্ষাপটে,
সর্বজনস্বীকৃত না অস্বীকৃত, নীতি বাক্য নির্ভর করে শুধু তারই ওপরে,
উত্তর দিতে হবে, টিকে থাকতে হবে,
নইলে অস্তিত্ব বিপন্ন, অসহায় অন্তর্জাল আর চারণক্ষেত্র, আমার চারপাশের।