সমৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা

শুন্যতার দেশে যেখানে সবাই ভালোবাসা খোঁজায় মত্ত,
নিজ স্বার্থ পরিত্যাগ ও উন্মুক্ততার নীতি শিক্ষা চারপাশে নিত্য,
অস্বীকৃত ও অবৈধের প্রতি দৃষ্টি ও একাগ্রতা যে মনের পরম ধর্ম,
সে কি উপলব্ধি করবে, মূল্যায়ন করবে উন্মুক্ততার মর্ম?

আচরণে অবাধ্যতা, শৃঙ্খলহীন শৃঙ্খলাতে যে সম্পূর্ণ বিশ্বাসী,
সবার মাঝে থেকে নিজেকে পৃথক রাখতে কেন হবে না সে উদ্দ্যেগী?
নিয়ম গড়া, নিয়ম ভাঙার মাঝে শুধু মানা, না মানা আর মানিয়ে নেওয়ার খেলা,
খেলাঘরে প্রত্যেকে স্বীকৃত, শুধু বিশ্বাসে রয়েছে বাধা,

মাঝে ওরা এসে ভিড় করে, রচনা করে দৈনন্দিনের সংঘাত,
নিজের স্বীকৃতি জনিত বিশ্বাস জন্মালে দল থেকে পৃথক দাঁড়াবার আশঙ্কা আর আভাস,
দল ছেড়ে কেউ বেড়িয়ে পড়ে, বিশ্বাসকে করে হাতিয়ার,
কিছু বার বার ফিরে আসে, এদের  সিদ্ধান্তগুলোকে দৃষ্টান্ত বানায় সবার মাঝে ওরা বার বার,

দলে থাকা আর না থাকার লড়াই নয়, নয় লড়াইটা সবার মাঝে থাকার,
নিজ অস্তিত্ব ও স্বীকৃতি নিয়ে সচেতনতা, খালি তকমাগুলোর পরিবর্তন ঘটে এই যা,
নিজের প্রতি স্নেহের মাত্রা অন্যদের প্রতি স্নেহের পরিমান নির্ধারণ করে,
পুরোটাই সাবেকি থাকে যতক্ষণ না অনুভূতি তার ডানা মেলে ধরে,

অনুভূতির কোনো আকার নেই সমাজে, মানে না কোনো নীতি,
সমাজের দেওয়া সম্পর্ক জনিত পাওয়া তকমাগুলো নির্ধারণ করে তার আকার আকৃতি,
সর্বজন স্বীকৃত নয় সেই আকার গুলো, বেশিরভাগের মান্যতার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত,
তাই সংখ্যালঘুরা তুলে ধরে বারে বারে নিয়ম, আকার আর আকৃতি ভেঙে ফেলার সংজ্ঞা আর দর্শন,

সংখ্যালঘুরা যে এখানেই বাস করে সবার মাঝে, নিয়মে তাদের নিজস্বত্বতা,
হয়তো এরাই সেই দোলছুট যারা ছেড়ে গিয়ে ফিরে আসে বার বার, না ভেবে সম্পূর্ণ নিজের কথা,
যারা ছেড়ে গেছে, তারা প্রতিষ্ঠা করেছে নিজের প্রতি নিজের স্নেহের অনন্ত ধারা,
সীমাবদ্ধতা রয়েছে তাদের, তাই কিছু ফিরে এসে নিয়ে যেতে চায় বাকিদের, আর না দিয়ে বাধা,

দেওয়ার সাথে পাওয়ার হিসেব এজীবনে কখনো মেলে না,
মাধ্যমগুলো আলাদা তাই বেশিরভাগের উপলব্ধিতে ঠিক আসে না,
সংকীর্ণতা আর উন্মুক্ততা দুটোই বিশ্বাসের রকমফের,
পাওয়া দিয়ে উপলব্ধিত না হলে, বিচার বিবেচনা করা যেত বেশ,

বাসনা ও কামনার প্রতি মরিয়া প্রচেষ্টা ক্ষনিকের সুখ দিতে পারে,
ক্ষনিকের আনন্দের সাথে দূরদর্শিতার ঘাটতি বার বার তুলে ধরে,
সবই তো নিজেকে ভালো রাখার আর আনন্দ দেওয়ার জন্য করা হয়ে থাকে,
তাই সবাই ভালো, সবার নীতি স্বীকৃত, না মানতে পারা ওরা খালি মাঝে কষ্টে পড়ে থাকে,

ভুল জেনে কেউ সম্পাদন করে না কোনো কর্ম, কিছু ঠিক উপলব্ধিতে থাকে,
সেই ঠিককে মর্যাদা দেওয়ার মতো শ্রবণশক্তি আর ধৈর্য আর কয়জনেরই বা থাকে,
শালীনতা ছেড়ে অশালীনতা কখন হয় উঠবে সাধারণ,
পাওয়ার বাসনার সাথে অধৈর্য্যর এ এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ,

প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস নিজস্ব দর্শনের,
আদৌ কি প্রয়োজন যদি নিজে দেখতে পাই সুন্দরতা সমস্ত কিছুর মাঝে, সদৃশ্যে দর্পন,
সমৃদ্ধির প্রয়োজন সেই সুন্দরতা উপলব্ধির উদ্দেশ্যে,
নইলে উপার্জিত কাগজের অর্থ খরচ করে জীবন কাটবে বেশ, যান্ত্রিকতার সাথে। 

1 thought on “সমৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা”

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s