ঠিক একই ভাবে মানবসমাজের বুকে নারীরা দীর্ঘদিন ধরেই লাঞ্ছনা, অপমান ও আরো কত কিছুরই না শিকার হয়ে থাকে দৈনন্দিন। শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি তাদের মনে থাকা পুরুষকেন্দ্রিক ভীতি তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় যেটাই হলো শিকারিদের সবচেয়ে বড়ো হাতিয়ার।
ভয় ছেড়ে বুদ্ধিসহ যেকোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে মস্তিস্ক দ্বারা সমাধান খুঁজলে তাৎক্ষণিক উপযুক্ত সমাধানে পৌঁছনো সম্ভব। কিন্তু মস্তিষ্কে গ্রাস করা দীর্ঘদিনের ভীতি পরিস্থিতি বিশেষে তার অক্ষমতার ছাপ রাখে প্রায় আমাদের সকলেরই জীবনে।
প্রবচন ও বাগধারায় যেসমস্ত মানুষেরা তাদের নিজেদের বাঘেদের সাথে তুলনা করে গর্ব ও আনন্দ প্রকাশ করেন, মনে হয় যেন সমাজের আরেকটি বিভাগ নিজেদের তৃণভোজীদের দলে নাম লিখিয়েছেন, ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা বেশি থাকা সত্ত্বেও তারা ভয় ও ভীতির শিকার, যে ভীতির সঞ্চার আমাদের সমাজ দায়িত্বসহকারে করে এসেছে।
এই ভীতির অন্ত হওয়ার যেমন প্রয়োজন পড়েছে আজকের দিনে এবং তার পাশাপাশি বুদ্ধিদীপ্ত কিছু কৌশলের নিয়মিত অভ্যেসের প্রয়োজনীয়তা আজকের দিনে বেড়েছে।
শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতির গুরুত্ব জীবনের যেকোনো পরিস্থিতেই অপরিসীম।
যারা সমাজে প্রত্যেকের জীবনেই প্রথম শিক্ষিকার ভূমিকা পালন করেন এবং সমাজকে আধুনিকতার দিকে যারা ক্রমাগত ভাবে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উদ্বুদ্ধ করে এসেছেন, তাদের চিন্তাজগতে আলোড়ন ছাড়া বর্তমান চিত্রের পরিবর্তন কোনোদিনই সম্ভব না।
সময়ের সাথে আমাদের পরিবর্তন না ঘটাতে পারলে আমাদেরই অস্তিত্বে টান পড়বে। বিবর্তনই অস্তিত্বের সর্বোত্তম আধার।
খুব সহজে বাস্তব।।
LikeLiked by 1 person