আমরা সবাই অদ্ভুতুড়ে ব্যক্তিত্ব ওই অবহেলার দেশে,
দেওয়াকেন্দ্রিক সমাজে ক্লান্ত আমরা, পাওয়ার অঙ্ক কষে,
দেবার বেলায় নেই গো মানা, যত দোষ সব পাওয়ার দেশে,
প্রশ্ন একই, দেওয়ার সূত্রে কিভাবে সবাই পাওয়ার অঙ্ক কষে?
বলে সমাজে থাকলে আশা জন্মাবেই, জন্মাবে পাওয়ার ইচ্ছে,
নইলে বাবু সন্ন্যাসী হওয়ার পরামর্শ জোটে দিবারাত্রে,
মানব মস্তিস্ক নিজের না অন্যের দ্বারা পরিচালিত হবে,
এই নিয়মের শ্রষ্ঠা কে, মাঝে জানার বড়োই ইচ্ছে,
বলবে বোধয়, নিয়ম আবার কি, এই তো চলে আসছে,
কেউ হবে পরিচালিত আবার কেউ পরিচালনা করবে বসে,
কেউ চেঁচাবে, আবেগ কুড়োবে, আবার কেউ সইবে,
ভালোবাসা আর স্নেহের পরেই কি বশীকরণ ও দাসত্বের সুযোগ আসবে?
বলবে বোধয়, সবই তো মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার,
তবে, বিষয়টা উভয়পক্ষের ওপর কেন বর্তায় না, শিক্ষিত ও সংবেদনশীলরাই কেন বইবে এই ভার,
পড়াশুনো করলে মানসিক সহ্যক্ষমতা বাড়ে, বলেনি কোনো প্রতিষ্ঠান,
সমাজের বিদ্যালয়ে এই নিয়মই চলছে নাকি দীর্ঘকাল,
নিয়ম হলো, মানা হলো, অমান্য হলে কি ব্যবস্থা,
মনের মতো শাস্তি সেখানে, প্রয়োগযোগ্য নয় মানবাধিকার ক্ষমতা,
সামাজিকতার মূল্য দিতে আয়ুকালে টান পড়ছে,
সমাজের মাঝে অস্তিত্ব বাঁচাবার দৌড় আবার সমান্তরালে চলছে,
সামাজিক ছবি কেন্দ্রীক সচেতনতা আজ সবার তুঙ্গে,
সমাজ মাধ্যমে এরই ছোট সংস্করণ, মেতে উঠেছে নানান রঙ্গে,
ছবি ভালো রাখতে হবে আবার ভালো রাখতে হবে নিজেকে,
ভালো চরিত্র সবাই হতে চায়, ভুলে সবাই একই বইয়ের নানান পাতার ভূমিকায় মঞ্চে,
সামাজিক প্রাণী মানুষ, তাই সমাজের মধ্যে নানান প্রকার সমাজের রচনা,
নানান সমাজের মধ্যে বার্তালাপ নেই, দীর্ঘদিন পুনরাবৃত্তি ঘটে এই ঘটনা,
একার সাথে সবার সমঞ্জস্যে, একার গুরুত্ব ও প্রশিক্ষণের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি,
নিজেকে ঠিক রাখার রসদ, অন্যের চেয়ে নিজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি,
ক্ষনিকের মেঘে আত্মবিশ্বাসে টান পড়ে, দুর্বল মনে হয় নিজেকে,
মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে, সেই বিশ্বাস যায় চুলোতে,
মধ্যমস্তিষ্কের অস্তিত্বে প্রশ্ন ওঠে, দোষারোপে উত্তীর্ণ করে মন,
প্রশ্নের গুরুত্ব আজ কে বোঝে, তাদের কানে মূল্যহীন শব্দ ভান্ডার তখন,
শেখার জন্য সহস্র বছর, উপভোগের আজই শেষ দিবস,
ছোট্ট উপলব্ধি পাল্টাতে পারে, শব্দকোষ থেকে শব্দচয়ন,
কার সাথে কোন বার্তালাপ অন্তিম, বোধগম্যতার ঘাটতি,
এসবের মাঝে মানুষ উদাসীন, সংঘাতে মশগুল ব্যাক্তি,
বিশ্বের উন্নত প্রাণী অর্ধ বন্য আজ, পুরো বললে মানহানিযোগ্য উভয়েই তখন,
শব্দের তর্জমা পাল্টে, ব্যাখ্যা পাল্টে কি জানি অর্জনের চলছে চেষ্টা,
সম্প্রীতির বাসনা মুখে, কর্মে প্রশ্নচিহ্নের সামনে সভ্যতা।
It’s difficult to find experienced people for this subject, however, you seem like
you know what you’re talking about! Thanks
LikeLiked by 1 person