বিনম্রতা জীবনের আচরণ, শিখছে নাকি চারপাশ,
কৃতজ্ঞতা ঈশ্বরের প্রতি, জানছে নাকি প্রতিটি শ্বাস,
বিশেষ অনুভূতির সঞ্চার তার মাঝে ঘটে চলেছে বিগত কয়েক দশকে,
বিনম্রতাকে দুর্বলতার তকমা দিচ্ছে, মিলে কিছু মানুষ রুপী প্রাণীতে,
শারীরিক বলের আস্ফালন দুর্বলের প্রতি, নাকি সহজাত প্রবৃত্তি,
মান ও হুঁশের সংমিশ্রণ নাকি একস্তরে বিলুপ্তপ্রায় অনুভূতি,
ক্ষনিকের ভোগ নাকি পুরুষত্বের আস্ফালন ঘটায়,
কাপুরুষতা কাকে বলে, নিজেই তার সংজ্ঞা বুঝিয়ে যায়,
কিছু মানুষ আজ ন্যায়ালয়ের চারপাশে দন্ডি কেটে যাচ্ছেন,
এর সুযোগ একদল মানুষ বেশ জমিয়ে উপভোগ করে চলেছেন,
না না, আইনজীবীদের পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো মন্তব্য করছি না,
অপরাধের হার অনেক কথা বলছে, বিবর্তনের সাথে সেই চোখ আর কানের আর দেখা মিলছে না ,
অভিসন্ধি ক্ষনিকের, চতুর্থ প্রজন্মের অন্তর্জাল ব্যবহারকারী প্রজন্ম বলে কথা,
পরমুহূর্তের চিন্তা আর কে করে, এখুনির উপভোগ্যতাই এখানে শেষ কথা,
অন্যায়, অপরাধ কি জিনিস নেই জানা,
খালি আবেগের বশীকরণে কর্ম সঞ্চালনই পাচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠের তকমা,
আজকাল কিছু মানুষ বলেন, শিক্ষক সমাজে বেত আর শাস্তি ফিরে আসুক,
সমাজমাধ্যম থেকে শোনা, বেতের অবলুপ্তিতে নাকি আজ সমাজের এই পরিস্থিতি সঙ্কটমুলক ,
বাস্তবে একেবারেই উল্টো এই চিত্র,
সন্তানদের মানবাধিকার নিয়ে অভিভাবকরা আজ বেশ উদ্বিগ্ন,
আজকের অভিভাবকরা তো স্কুলে বেতের ব্যবহার দেখেছেন,
সন্তানের বেড়ে ওঠাতে শাস্তির ভূমিকা হয়তো উপলব্ধিও করেছেন,
তারাই স্কুল কলেজ কতৃপক্ষদের চোখ রাঙানি দেখাচ্ছেন,
বেআইনি কাজ, চাকরি করতে দেবেন না এই ভয় সরকারি, বেসরকারি সমস্ত স্তরে দেখিয়ে যাচ্ছেন,
শিক্ষাব্যবস্থায় শাস্তির অভাবে সমাজে ধর্ষক বাড়ছে,
এই দাবি যারা করেন তারা সরকারকে আর্জি কেন, না করছেন?
নিজের মানসিক ও আবেগী গোলোযোগকে অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন,
এই ক্ষেত্রে শিক্ষকরা সম্মানযোগ্য, যেখানে তারা মূর্খ ও ফাঁকিবাজের তকমা পেয়ে বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন,
আইনি গোলযোগ ও প্রতিপত্তশালীরা প্রীতিপত্তি অনুশীলন হয়তো করে থাকেন,
বাড়িতে নাগরিক শিক্ষা আজকাল আর কয়জনইবা দিয়ে থাকেন,
ধর্ষকরা কারো না কারো সন্তান, আবেগের কাছে মস্তিস্ক অসাড় তাদের,
তবু তারা সম্মানিত, দোষ তো আইন আর শিক্ষাব্যবস্থার দেশের,
কোথাও অ্যাসিড ছোঁড়া মুখে, কোথাও নির্যাতন, কোথাও ধর্ষণ,
নারীরা কথা বললে, প্রতিবাদ করলে, শোনার মতো কান আর সময় নেই তখন,
অর্থনীতির কথা উঠলে নারীর কথা খুব মনে পড়ে,
মনে পড়ে তখন, সার্বিক অংশগ্রহণেই যে প্রগতির দেখা মেলে,
শিল্প বিপ্লব হোক বা হোক বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল,
বিশ্ব অর্থনীতির দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে গেলো সমাজের ভেতর আরেকটা সমাজ ধরে দীর্ঘকাল,
আধুনিকীকরণের নাম করে সমস্ত তত্ত্বের ব্যাখ্যা পাল্টানো হলো,
কখনো নগরকন্যা আবার কখনো দূর্গা নামে ডাকা হলো,
দুর্গার ধর্ষণ হলো, নির্যাতন হলো, বৈবাহিক ধর্ষণ পর্যন্ত করা হলো,
সময়ের সাথে তদন্ত ও সমাজের নামে মানহানি বার বার ঘটানো হলো,
কিন্তু মানুষ ভুলে গেলো, একশো তেত্রিশ কোটির দেশে খুবই ছোট্ট ঘটনার স্থান পেলো,
আজ দুর্গারা যশস্বী নয়, তারা তো বরাবরের মতোই নগন্য ব্যক্তিত্ব,
প্রচার ও নৈতিক শিক্ষা চারিপাশে, নারী কোনো ভোগ্য পণ্য নয়,
বাস্তবের এক প্রতিফলক চলচ্চিত্র জগৎ কিন্তু এরই ঠিক উল্টো কথা কয়,
প্রদর্শনী না হলে বাণিজ্যে টান আসে,
সৌন্দর্যের সঠিক তকমা অন্তর্জালে ছদ্মবেশী মোড এ (incognito mode) দেখা মেলে,
রুচিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন নয়, নয় কোনো ব্যক্তিগত প্রহার,
হিংসা, ঈর্ষা তুঙ্গে, বন্যতে ভরা পুরো শহর আমার,
আধুনিকতা না বলে বলা উচিত বন্যতা,
পুরুষত্ব, ব্যক্তিত্ব নয় যেকোনোভাবে অর্থ ও কাপুরুষুতাই পাচ্ছে অনেকের দর্শনে শ্রেষ্ঠত্বের তকমা,
সব মায়েরা টাকার গুরুত্ব সন্তানকে বোঝাচ্ছেন, উপার্জনের মাধ্যমটা হয়তো বলছেন না,
মাধ্যমের গুরুত্বকেন্দ্রিক ব্যাখ্যার ঘাটতি নিয়ে আসছে ফারাক বোধগম্যতার ,
অভিভাবকদের মধ্যে পিতা অবলুপ্ত, একটা টাকা ছাপার যন্ত্র মাত্র,
সঠিক পরিমানে ছাপতে না পারার জন্যেই নাকি অনেক সন্তানেরা আজ বিপথে, হয়ে বাধ্য,
দোষ কয় প্রকার ভাবে দেওয়া যেতে পারে, সমাজ থেকে শেখা যায়,
হিংসা ও ঈর্ষার প্রতিফলন কিভাবে ঘটাবে, চারপাশ থেকে শেখা যায়,
টাকার গুরুত্ব ও প্রতিপত্তি কতখানি, তাও পাড়ার আড্ডায় উপলব্ধি করা যায়,
কিন্তু মানসিক প্রগতি ও চিন্তাধারার বিকাশ যেন সেই কোথাও না কোথাও অধরাই থেকে যায়,
জ্ঞান ছাড়া বুদ্ধির বিকাশ ও নিজ ব্যক্তিত্বের প্রগতি কোনোদিন সম্ভব নয়,
পড়ার অভ্যেস ছেড়ে দেওয়ার থেকে বড়ো ভুল সিদ্ধান্ত জীবনে আর একটাও নয়,
জ্ঞানের হাত ধরে প্রগতির কৌশল আয়ত্তে আসে,
পরিকল্পনার গুরুত্ব উপেক্ষিত হলে, বাস্তব আড়ালে মুচকি হাসে,
ধর্ষিতার পরিবার ন্যায়ালয়ের চারপাশে ঘোরে, সমাজের বাকিরা হাসে, সমালোচনা করে,
ভূমিকাগুলো বেশ অদ্ভুত, চিত্রনাট্যের পরিচালক জানি না কি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে,
একদল ভোগ্যপণ্যের চাহিদা করে, যা কোনোদিন মেটে না,
সবাই উদাসীন ও লাজুক প্রকৃতির প্রাণী, আমরা ওসব কিছু দেখি না,
খবর দেখি, গল্প করি, মস্তিষ্কে ছাপ ফেলি না,
আমার বাড়িতে কিছু না হলে, উচ্চ বাচ্চ বেশি করি না,
আমার বাড়িতে কিছু হলে, প্রশাসন খারাপ, সমাজ খারাপ, আমি ভালো মানুষ,
চারপাশে খুন, আত্মহত্যা,ধর্ষণ, নির্যাতন, উদাসীনতা তাতে কি হয়েছে, নিজে আমি আছি বেশতো এখন,
আমি ভালো মানুষ, হতে পারি বিকলাঙ্গ,
ওই দেখি না, বলি না, শুনিনা এই আর কি, আছি কোনোরকমে বেশ এখন,
সকলের উদ্দেশ্যে কিছু বলি না, কিন্তু ঘাটতি বোধগম্য,
অন্ধের সমাজ, বন্য সমাজে এসব ঘটনা খুবই সাধারণ, ওই ওদের ভাষায় আম তো?