আলোচনা সমাজের সকলের জন্য কাম্য,
প্রগতির আগমন ঘটে, হাত ধরে আলোচনা মধ্যস্থ যুক্তি ও তর্ক,
সম স্তরে আলোচনা হলে তকমা বহন করে সমালোচনার অর্থ,
সম শব্দটি অর্থ হারিয়ে নিজে আলোচনার কাছে উপস্থিতি প্রমানে ব্যর্থ,
পরনিন্দা আজ সমালোচনার তকমা সহজে পায়,
যদিও দুই শব্দের অর্থে বিপুল পার্থক্য থেকে যায়,
ঋনাত্মকতার পরিবেশ দূরীকরণে যার জন্ম হয়েছিল গুণমানের কথা মাথায় রেখে,
অপমাননার শিকার সর্বত্র ভাষাবিদরাও হতবাক এইরূপের প্রয়োগে,
চুল চেরা খুঁটি নাটি বিশ্লেষণের মাধ্যম সমালোচনা,
কোনো ব্যাক্তি কোনো ব্যক্তির সমতুল্য নয় তবু গন্যিত হয় কিছু স্তরে তা সবার জানা,
স্তর গুরুত্ব হারিয়েছে, আজ সকলেই সকলের সমান,
মন্তব্য ও সমালোচনা আজ সমাজের কাছে বেমানান,
মন্তব্য ও সমালোচনার ঢের অন্তর,
মন্তব্যের জন্য অপ্রয়োজনীয় খোঁজা সমস্তর,
মন্তব্যের হাত ধরে আসতে পারে বিতর্ক ও বিশৃঙ্খলার ঝড়,
সমালোচনা বুদ্ধিদীপ্ত, সম্ভাবনার সর্বত্র খোঁজে মোড়,
অজ্ঞানতা দোষের তকমা পায় না, পায় না কারো রোষদৃষ্টি,
বৃহত্তর ব্যক্তিত্বের ফাঁকা ছবি তৈরী করতে গিয়েই যত অনাসৃষ্টি,
অনুভূতিসম্পন্ন, গুরুত্ব বোঝা ব্যক্তিত্বরা দায়িত্ব বহন করে,
ছোট করে বড়ো নয় ওরা ছোটদের বড়ো হতে সাহায্য করে,
মন্তব্য ও সমালোচনা শুনতে দেখতে হয়তো একই লাগে,
পার্থক্যটা আবেগ ও উদ্দেশ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে,
ঋণাত্মকতা আলোচনা হয় সর্বত্র, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে,
মনোবল ভাঙা নয়, দ্বিগুন মনোবলে যাতে গুণমান সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ে,
শব্দকোষ ছোট হোক বা বড়ো, প্রেক্ষাপট মানে পাল্টে দেয়,
তাইতো বন্ধ ঘরের গল্প বাইরে আলোচনাযোগ্য নয়,
প্রত্যেকের ক্ষমতার চেয়ে সীমাবদ্ধতার দিকে গুরুত্ব,
বাড়ায় বিনম্রতা, বয়ে আনে প্রত্যেক ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান ও গুরুত্ব,
আলোচনা ও সমালোচনা কোনোদিনই এক নয় ,
উদ্দেশিত ব্যক্তি বা বস্তুর অনুপস্থিতিতে নিন্দা ও চর্চা মোটেও সমালোচনা নয় ,
আলোচনা হতে পারে তবে সেখানে থাকবে ধণাত্মকতা ও ঋণাত্মকতার সামঞ্জস্য ,
হয়ে উঠবে না গোপন তথ্যাদি ও কার্যকলাপ কেন্দ্রিক বিশ্লেষণের উৎস
আমার সমাজে অনুমানকেন্দ্রিক পর চর্চা দীর্ঘদিনের অভ্যেস,
কর্মহীনতার বার্তা বহন করে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় বেশ,
হয়তো তাই মানুষ আজও সরকারি চাকরি খুঁজতে ব্যস্ত,
কাজ নয় পর নিন্দা কেন্দ্রীক বিনোদনের জন্য সময় খুঁজতে ন্যস্ত,
না না, কর্ম বিরূপতা নয়, একটু কমে যাতে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়,
হাজার নালিশ ও অভিযোগের জন্ম হলেও মাসিক আয় যাতে অক্ষুন্ন রাখা যায়,
কর্মকেন্দ্রিক বিনোদনপ্রাপ্ত মানুষদের মুখে তিরস্কার ঠিক আসে না,
তাদের ব্যাঙ্গাত্মক বক্তব্যের মাঝে ঋণাত্মকতা ঠিক স্থান পায় না,
অভ্যেস দীর্ঘদিনের, তাই কেচ্ছা কাহিনীর রমরমা অস্তিত্ব,
কেচ্ছা কেন্দ্রীক বক্তব্যের দ্বারা প্রাপ্ত বিনোদনের সম্পূর্ণ আলাদাই মাহাত্ম,
আলোচনা, সমালোচনা, মন্তব্য ও অন্যকে ছোট করার ধারণার পার্থক্য,
রচনা করতে পারে নতুন এক সমাজ, যা হবে প্রতিবাদী, সৃজনশীল ও ছোটদের নাগরিক গড়ে তোলার মধ্য।