কাজ কোনোদিন থেমে থাকে না,
কেউ কারো কাছে অপরিহার্য হয় না,
সময় মেলায় চরিত্র,
যারা আঁকে বর্তমানের মানচিত্র,
অপরিহার্যতার তকমা পায় আড়ালে নিজে পরনির্ভরযোগ্য,
আবেগকে হাতিয়ার করে কিছু সময় অতিবাহিত,
নির্দিষ্ট আয়ুর আড়ালে থেকে যায় বক্ষ রিক্ত ,
অপরিহার্যতার ভ্রমে অহংকারের জন্ম,
তার হাত ধরে অন্যকে ছোট ও নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়ার ধারণার প্রজন্ম,
সম্পর্কের মাঠে দমিত করার মন্ত্র,
শেষে দমিত সেই, যে আবেগী বেশি সর্বত্র,
শব্দের কাঠিন্য ও কড়াভাব পরিচয় হয়ে দাঁড়ায় ব্যক্তিত্বের,
নিজের মতে পরিচালিত করার ষড়যন্ত্র মনুষত্বের,
রাগ, অভিমান সবেরই অস্তিত্ব নরম মাটিতে,
যেখানে অন্য কেউ দমিত আবেগের খুঁটিতে,
ব্যক্ত হয় সেই বক্তব্য কোনো না কোনো একদিন,
শ্রুতিযোগ্য কানের চয়ন হয় যেই দিন,
অব্যক্ত বক্তব্যের শ্রবণযোগ্যতার ওপর সমানে প্রশ্ন ওঠে,
বিরক্তিভাবের জন্ম সব বার্তালাপকে অর্থহীন করে,
সময় কেটে যায়, কর্ম সম্পাদিত হয়, সম্পর্ক বয়ে বেড়ায় মানুষ,
একাকিত্বের গ্রাসনের সাথে বর্তমানের তুলনা করে মানুষ,
অতীতের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাঁচতে চাওয়ার প্রয়াস ছিল,
বর্তমানের সম্পর্কের ভার তারই ফলাফল বলে গেলো,
নিজের দায়িত্ব শুধুই নিজের, মানসিক হোক বা শারীরিক,
একা মাঠে তুমি দাঁড়িয়ে, যতই সম্পর্ক দ্বারা আবদ্ধ চারিদিক,
অন্যের আবেগ তাদের মতো, তাদের মতো নীতি,
সবাইকে সবাই সহ্য করে, কারণ কাল ধোঁয়াশাময় প্রতিদিনই।