জীবন ও অন্ধকার

জীবন চলিয়া চলে তাহার আপন ছন্দে,
কে সঙ্গ দিলো আর কে দিলো না, না ভেবে থাকে সবার মধ্যে,
বয়ে চলে সময় মাঝখান দিয়া, দিবা রাত্র তাহার ইঙ্গিত যায় দিয়া,
ক্লান্ত পথিক না চলতে পারিয়া, ক্রমাগত হতাশার দ্বারস্থ হয় গিয়া,

স্বল্প সময়ের দেখানো রূপ মেঘের রূপক ধরে,
ক্ষনিকের জন্য সূর্যের আলোকে সে যেই আড়াল করে,
মেঘের ক্ষনিকের কার্যক্ষমতা সকলকে অবাক করে,
এরই মাঝে অনেকের প্রদীপে তেলের ঘাটতি পড়ে,

ঘাটতিতে ঘটা ঘটনার সাক্ষী থাকে জীবন,
স্বল্প আঁধারের ভীতি ওমনিই গ্রাস করে কিছুক্ষন,
জীবনের বাতাসে মেঘ কেটে যায়, প্রকাশিত হয় আলো,
নতুন ভোরের আশার বাস্তব, জীবনকে সার্থক করে আরো,

দৈত্য, অন্ধকার, এরা বিচরণ করে আলোর অস্তিত্বের মাঝে,
স্থায়ী এরা কেউই হতে পারে না, ক্ষনিকের প্রভাব বিস্তার করে,
অন্তহীন চক্রের সীমিত জীবনে, শুন্যতা নেই,
কিছু না কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে সর্বক্ষনে,

নদীর গতিপথ দর্শনে তোলার কৌতূহল সর্বত্র,
মানব চক্ষুর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কিত জ্ঞান, খুবই স্বল্প মাত্র,
দৃষ্টিগোচর না হওয়া কিছুকেই কি বলে শুন্যতা,
নাকি মস্তিষ্কের অক্ষমতাকে ঢেকে রাখার মানসিকতা,

হতাশা, অন্ধকার সব তারই সৃষ্টি নাকি অলীক কোনো বস্তু,
মনের ভেতরকে ছটপটিয়ে তোলে, শারীরিক ভাবে প্রভাবিত এক জন্তু,
আপেক্ষিকতার হাত ধরে, জ্ঞান নিয়ে সব ক্লান্ত,
বন্যপ্রাণীদের থেকে অনিশ্চয়তার মাঝে জীবন উপভোগ করাটা যদি একটু শেখা যেত,

হতাশাগ্রস্ত তারাও হয়, মন ভাঙে রোজ ওদের,
ঠিক করে রোজ খেতে না পেলেও, দিনের শেষে নীড়ে ফেরে,
পুনরুদ্দ্যম নিয়ে নতুন দিনে নতুন আলোতে ছুটে চলে প্রতিদিন,
কারণ নিজের অন্ধকার নিজে রচে না ওরা, যেমনটা মানুষ রচে রোজদিন।

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s