দেশ একটি ধারণা, আবেগে তার অস্তিত্ব,
জাতি তার সম্পদ, শ্রেষ্ঠত্ব তার উদ্দেশ্য,
বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে ক্ষেত্র বিশেষে উৎকর্ষতাই শেষ বাক্য,
স্বাধীনতার দায়িত্ব এখন জাতি নিজের হাতে নিতে ব্যস্ত,
উল্ল্যেখ নেই ধর্মের, কিন্তু জাতির রয়েছে,
মানুষের জন্য ধর্ম কিন্তু দেশের জন্য জাতি হয়েছে,
সীমাহীন উন্ন্যতি, সীমিত ভূখণ্ডেই রয়েছে,
বৃহত্তর সমাজের ধারণা দেশই সবার প্রথমে রেখেছে।
পারিবারিক অশান্তির সাথে দেশের সমস্যার মিল রয়েছে,
অনুকরণের অনুরণনে সবকিছুই গরমিল লাগছে,
অভিমান বুকে আছে, নিজের পরিচিতিতে প্রশ্ন,
বাড়ির বাইরে আর ভেতরে সবার পরিচয় এক নয় তো,
পরিবার ছোট, রাজ্য ছোট, বড়ো যেখানে দেশ,
পরিবার, রাজ্য সবাই পরিচিতি পায়, সম্মানে নেই ভেদ,
মতের অমিল তাদেরই হয়, যারা করে কাজ, না বাড়িয়ে মেদ,
জ্ঞান ও যুক্তি বিকশিত করা জাতির কেন্দ্রবিন্দু আজ এতে নেই কোন প্রভেদ।।
মনোনীত প্রতিনিধির ভুলের আগে রয়েছে ব্যক্তির ভুল,
জাতি ব্যক্তির সমষ্টি, তার বৈশিষ্ঠে আর যাই থাকুক থাকতে পারে না গুল,
প্রতিনিধির ভুলে প্রশ্ন উঠবে, গণতন্ত্র তার ছাপ রাখবে,
ব্যক্তির কাজ এরূপ হবে না, যাতে দেশ থেমে থাকবে।
স্বাধীনতা ভোগের বস্তু নয়, রয়েছে অনেক দায়িত্ব,
দায়িত্বের আগে দেশ ও নিজ কর্মের প্রতি আবেগ গুরুত্বপূর্ণ,
কারণ আবেগ জন্ম দেয় দায়িত্বের, উল্টোটা ব্যতিক্রম,
ব্যক্তির ধারণা সর্বদাই উল্টে সাজায় ক্রম।
পারিবারিক সমস্যার মাঝেও যেমন ব্যাক্তি অভীষ্ট সিদ্ধ করে,
দেশের সমস্যার মাঝে জাতি দেশকে না ভেঙে প্রগতিশীল রাখে,
জাতির জন্য দেশ নয়, দেশের জন্য জাতি,
দেওয়াকেন্দ্রিক সম্পর্কে, নেওয়া, পাওয়া সবই আনুমানিক।
ফলের আগে কর্ম করা প্রকৃতির নিয়ম,
কাজের প্রথম দিনেই তৈরি থাকে না বিলাসবহুল বেতন,
ছোট অভীষ্টের সমষ্টিতে সীমাহীন বৃহৎ অভীষ্টের দিকে গমন,
উক্ত পদ্ধতিকে বেঁধে রাখতে পারে না কোন বিপরীত ক্ষণ।
অর্জিত সম্পদের মূল্য প্রিয়জন ছাড়া যেমন অর্থহীন,
তাদের দোহাই দিয়ে অসাংবিধানিক কাজ, প্রিয়জনদের যোগ্যতার গোঙরানি,
ক্ষমতা, লোভ সীমিত সময়ের আবেগ, পরিণতি আশাহীন,
শব্দগুলো মহাভারতের, জাতির কাছে আজ যা অর্থহীন।।