সেই সমস্ত বিবাহ আজ উদাহরণযোগ্য, যেখানে প্রচেষ্টাগুলো প্রতিষ্ঠা ও সফলতার তকমা পায়,
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কি তাহলে একটি মাধ্যম সম্পর্ক, এছাড়া সম্ভব নয়,
অনেকেই দৃষ্টান্ত দিয়ে বলবেন হয়তো, একা প্রতিষ্ঠিত অনেকেই কারো সাহায্য নিয়ে নয়,
তাহলে পাশে থেকে সফলতা অর্জন এত নজরকাড়া কেন, কেন তা স্বাভাবিক নয়?
পাশে থাকা থেকেই মাপা হচ্ছে সতীত্ব, চরিত্র আর আচরণ,
নাকি সম্পর্কের মানদণ্ড বিচার হচ্ছে, প্রতিষ্ঠার মোড়োক ঢাল করেই সম্ভব বিচরণ?
কোনো পুরুষসত্তা নারীসত্তা ছাড়া সম্পূর্ণ নয়,
কিন্তু সম্পূর্ণতার নাম কোনোদিন প্রতিষ্ঠা বা স্বীকৃতিও নয়।
কর্মের ফলস্বরূপ আসে যশ, আসে প্রতিষ্ঠা,
কৃত কর্মের হাত ধরে আসে স্বীকৃতি ও চিরঞ্জীবীর মর্যাদা,
নারীর সতীত্ব, সম্পর্কের প্রতি তার সততা নিতান্তই ব্যক্তিগত,
কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের সামাজিক তকমাকরণ দীর্ঘকাল ধরে স্বাদরে গৃহীত।
সম্পর্কের দ্বারা আমরা যখন বিধ্বস্ত হই, দোষারোপ করি অন্যকে,
নিজের বিশ্বাস ভাঙার জন্য দোষারোপ করি একে অপরকে,
আমি আমার মতো করে বিশ্বাস করেছি, সে তার মতো করে,
আমার সংজ্ঞার সাথে তারটা মিললো না, এই অপরাধে কিভাবে দোষী সাব্যস্ত করি তারে?
ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও কর্মকেন্দ্রিক আবেগের মাঝে অনেকসময়েই ভারসাম্যের প্রয়োজন হয়,
সেই ভারসাম্য, আমাদের বিভিন্ন তর্জমার সম্পর্কের মাধ্যমে লাভের আশা হয়,
সম্পর্কই একমাত্র ভারসাম্য লাভের মাধ্যম কেউ বলেনি,
নিজের আবেগের দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে হালকা অনুভব করাটা আদৌ ঠিক কি?
অনেকেই এই প্রেক্ষাপটে বলতে পারেন যে, আমারতো সমস্যা হয় না,
কিন্তু, ব্যক্তিবিশেষে জীবনের সমাধানগুলো ভিন্ন, এটা কেন আমরা বুঝি না?
বুঝলেই আমরা দেখতে পাবো, প্রতিটি মস্তিস্কই স্বাধীন,
তাদেরও যে আবেগ আছে, তারাও যে তাদের মত করে পরাধীন।।