অপমানিত, উপেক্ষিত, গুরুত্বহীন ব্যক্তিত্ব,
মানসিক নয় সামাজিক, সব চরিত্র,
সাংবিধানিক নয় পারিবারিক মতাধিক্য,
সুযোগসন্ধানীদের দ্বারা চারিপাশ বেষ্টিত
সামাজিক থেকে অতিসামাজিক হওয়ার চেষ্টা,
অনেকেই ভান করে যেন তারা একদমই প্রশ্রয় দেয় না,
গুরুত্ব আর সম্মান হৃদয়ের অন্তস্থলে রাখা,
খুঁজছে সবাই, এক বহির্মুখী তকমা
গুরুত্ব আর সম্মান নাম পাল্টায় মাঝে মাঝে,
স্বীকৃতি নামক শব্দের পেছনে, মুখ আড়াল করে,
কর্ম আর আবেগ স্বীকৃত ছিল নিজ অন্তঃদ্বারে,
প্রবেশ পথের খোঁজ চলছে, অন্যের অন্তঃস্থলে
ছবি বাঁচানো হচ্ছে, কোথাওবা তৈরী করা চলছে,
যে দৈতসত্তার অস্তিত্ব নেই, সেই সত্তার বীজ বপিতো হচ্ছে,
ছোট আচরণেই বড়ো ফারাক দেখা দিচ্ছে,
ছবি দিয়ে চরিত্রের কঙ্কাল দেখার প্রয়াস শুরু হয়েছে,
রক্ত মাংসের সাথে বার্তালাপ হয় রোজই,
সেই হাঁসি হয় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ফ্রেমবন্দি,
ব্যাক্তিত্বরূপী কঙ্কাল গুলো রোজ ব্যায়ামাগারে যাচ্ছে,
রক্ত মাংস দিয়ে নতুন আকার আকৃতি ব্যক্তিত্বরা পাচ্ছে,
সমৃদ্ধি নয়, পোশাকী আবেগের জন্ম হচ্ছে,
পরিবেশনের ধরণ নয়, আস্ত বক্তব্যটাই পাল্টে ফেলা হচ্ছে,
আঙ্গুল ওঠালেও, আঙ্গুল আর পৌঁছচ্ছে না,
পেঁয়াজের মতো কটা আস্তরণ সেটাই বোঝা যাচ্ছে না
আস্তরণের ওপর আস্তরণ প্রকাশ পায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে,
আস্তরন অনুযায়ী মতের পোষণও ঘটে,
পোশাকি আবেগ আর পোশাকি ব্যক্তিত্বগুলো সেই মতগুলো থেকে পুষ্টি পায়,
কিছু জ্যান্ত পরজীবী,এভাবেই রুপ ও ব্যক্তিত্ব চর্চা করে ঘুরে বেরায়।
নিজেদের নিজেদের প্রতি সন্তুষ্টির ঘাটতি জন্ম দিচ্ছে আস্তরণের,
কোথাও প্রকাশিত রূপে তো আবার কোথাও ব্যক্তিত্বে,
নিজের গুনের ওপরে সন্তুষ্টি নেই এমন মানুষও রয়েছেন,
কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই সবচেয়ে সহজ রাস্তাটাই বেছে নিচ্ছেন,
আসলে অন্তর্জালের গতি জাতির ধৈর্য কাড়তে বসেছে,
এখুনি চাইয়ের আবেগ, ক্রমশ মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে,
অল্প সময়ে বেশি অর্জন এখন নতুন নেশার রূপ নিচ্ছে,
কিছু মানুষ পিছিয়ে আর কিছু, তোয়াক্কা না করেই অন্তহীন দৌড়ে ছুটে যাচ্ছে।।