না পাওয়ার দিকে মানুষের টান চিরকালের,
পাওয়াগুলো উপেক্ষিত বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্র।
এই যেমন মানুষ আবেগ ভোগ করে সবচেয়ে বেশি,
কিন্তু নিজের আবেগই সর্বদা উপেক্ষিত, সময় কম পেয়েই অভ্যস্ত তারা কম বেশ।।
এই রকমই এক আবেগের নাম সমর্পন,
প্রেম আর আধ্যাত্মিক চেতনার অলিতে গলিতে চর্চা এনার সর্বক্ষণ।
মানুষ যেমন ভালোবাসা জানে, কিন্তু কাকে ভালোবাসতে হবে ঠিক জানে না,
তেমনই মানুষ সমর্পন জানে, কিন্তু কোথায় কিভাবে করতে হবে সেটাই জানে ন।।
ছোট বয়স থেকেই আমরা সবাই ভালোবাসা আর স্নেহ দ্বারা জড়িত,
অনেকেই নিকট আত্মীয় ও পরিবার বহির্ভূত কারোর সাথে এর চেয়েও গভীর আবেগে লিপ্ত।
প্রেম ভালোবাসা কেউই মনে চেপে রাখে না, মাধ্যম খোঁজে জাহির করার,
সমর্পনের নামে নিজের সবচেয়ে দামি জিনিসটা দিয়ে বসে উপহা।।
উপহারের উপভোগ্যতা ছাড়িয়ে যায় সমস্ত সীমা,
কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে সমস্ত জীবিত ও জড় বস্তুর সমাপ্তির তারিখ যে সীমিত, হয়ে আছে বাঁধা,
কিছু উপহার কয়েকদিন তো কিছু কয়েকবছর মাত্র,
আবেগের কোনো বাজার যেমন হয় না, তেমনই ফিরেও আসে না, বিশেষ করে যে উপহারগুলো আবেগমাখানো।।
কিছু উপহারের ফলাফল হয় সাংঘাতিক,
আবেগ আর হরমোনের দ্বারা বশীভূত মানুষ ভুলে গেছিলো যে পরিবারের কথা,
এখন মাথা চাড়া দেয়, ভাবতে বসে এবার সব, থেকে গোড়া।
খোঁজ মেলে অনেক কিছুর, ধরা পড়ে, ভবিষ্যতের কাম্য জীবনের রসদের অভাবের কথ।।
কিন্তু সেই সমর্পিত উপহার যে মান হারাতে শুরু করেছে,
নিজের সবচেয়ে দামি জিনিস আজ গুরুত্ব হারাতে বসেছে।
নিজেকে নিঃস্ব মনে করে কেউ লড়াই করে, পরিবার হয় তাদের কাছে দামি,
আরেকদল নিঃস্ব হয়ে, হয় আত্মঘাতী।।
ঘটনাগুলো চারদিকে ঘটে ঠিকই, শুনে ভুলে যাই আমরা,
এই ঘটনাগুলোর পেছনে সর্বদাই থাকে না ভারসাম্যহীনতা।
নিজেকে সমর্পিত করে দেওয়াটাই জীবনের সেরা উপহার,
এই অনুভূতি শেষ করে দিয়েছে অনেক কিশোর কিশোরীর প্রাণ আর পরিবার।।
তারা গুলিয়ে ফেলেছে আত্মিক আর শারীরিক সমর্পনের ফারাক,
বুঝিয়ে দেওয়ার মতো পায়নি কাওকে, বন্ধুরা সর্বদাই উৎসাহ দিয়েছে।
নিজের প্রিয়জনদের পরমঈশ্বরের কাছে নিজের ভক্তি ও জীবন উৎসর্গ করতে দেখেছে,
কম অনুভব এই দৃশ্যের অন্য অর্থ উপলব্ধি করিয়েছ।।