সমাজে বিভেদের ষড়যন্ত্র চলেছে প্রাচীন কাল থেকে,
বিভেদের মাধ্যমে সুযোগ সুবিধে বিলি করে বেড়ানো হয়েছে,
কখনো ধর্ম, কখনো জাতি, কখনো বা গায়ের রং এর মোড়ক ব্যবহৃত হয়েছে,
সুযোগ সুবিধের লোভ আর আত্মবিশ্বাসের অভাবে একদল মানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধ করে যাচ্ছে,
সব ধর্মের সারাংশ এক, শুধু পরিবেশিত বিভিন্ন রূপে,
খানিকটা একই বিষয়ের অনেক শিক্ষকের যেমন পার্থক্য মেলে পাঠন পদ্ধতিতে,
সবাই মানুষ আর তাদের এক সৃষ্টিকর্তা,
তাও মানুষ কোথাও কালো আবার কোথাও সাদা,
সবাই জেনেও জানে না ধর্ম বিভাজনের কারণ আর ফলাফল,
সবাই জেনেও জানে না জাতি বিভেদের গন্ডগোল,
বিচার বিবেচনায় গাফিলতি, ভুল বোঝা আর ভুল বোঝানোর সূত্রপাত,
ধর্মগুরুরা সংখ্যা দিয়ে নিজেদের প্রভাব, মেপে চলেছেন আজও, এবিষয় ভেবে দেখার আজ দরকার পড়েছে আরও ,
নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মানুষ বোঝানো চলছে,
ক্ষমতা আর অর্থের লোভে পবিত্রগ্রন্থের ব্যবসা খোলামেলা চলছে,
অদৃশ্য শক্তির এক এক ব্যাখ্যা কট্টর পন্থী মনোভাবের জন্ম দিচ্ছে,
হিংসা, ঈর্ষা আর বিভেদ রচনা করে একদল আরেকদলকে পরিচালিত করছে,
এই তথ্যগুলি সবাই জানে, কিন্তু সবাই জানে না,
বিভেদ সৃষ্টির পদ্ধতিকে মানুষই প্রশ্রয় দেয়, কিন্তু স্বীকার করে না,
মানব সমাজ স্বীকারোক্তি চায় না, নাই চায় কারো শাস্তি,
চায়নি কোনোদিন তারা দেশময় বিক্ষোভ, যুদ্ধ আর অশান্তি,
শুধু এক পরমঈশ্বরের নামে নিজের তথ্য, নিজের সীমিত দর্শনের প্রতিফলন বন্ধ হোক, এটাই কাম্য,
এক মানব জাতির এক ঈশ্বর, এটাই তো ছিল সমস্ত ধর্মপ্রচারকদের স্বপ্ন,
এক জাতি, এক ঈশ্বর, আর তাদের নানান পবিত্রস্থল,
সুযোগ সুবিধে, কামনা বাসনা সবকিছুই আসুক না হাত ধরে কর্মের ফল
পৃথিবীর সমস্ত কাজ , সমস্ত জীবিকা দেওয়াকেন্দ্রিক, কোথাও প্রথমদিন মাইনে মেলে না,
কথাগুলো অবিকল স্বপ্নের মত শোনালেও, কেউ একটিবারও কিন্তু ,মেনে পরীক্ষা করে দেখে না,
বিভেদের মত দুঃখ, কষ্ট নয়, মিলবে আনন্দের ছোঁয়া,
বিশ্বাসের ওপর বিভেদ সৃষ্টি অবোধের, সবাই একসাথে নিজেদের কাজ করে যাই, হোক না অঙ্গিকার।।