পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে আজ আমাদের সবার মুঠোবন্দি
প্রকৃত অর্থে একাকিত্ব বোধয় প্রযুক্তির হাতেই সৃষ্টি
সবাই বলে প্রযুক্তি তে আছে ত্রুটি আছে অনেক নেতিবাচক দিক
তারাই আবার প্রযুক্তির ঘাড় ভেঙে নিজেদের নিজস্বী তোলে ঠিক
বন্ধুত্ব থেকে বিয়ে, সবই চলছে এর হাত ধরে
গোপনীয়তা ফাঁস হচ্ছে জ্ঞানের অন্ধকারে
লোক দেখানো মানসিকতার জন্ম বোধয় এরই হাত ধরে
ব্যক্তিগত কথাটির আড়ালে কত কেচ্ছাই না চলছে
জেনে গেলে বলা বারণ, আছে উপঢৌকনের ব্যবস্থা
সবাই জানলে পাছে খারাপ হয়ে যায় সবার সামনের মুখোশটা
মুখোশ পরে চলছি সবাই, লোক জানাজানির ব্যাপারে সচেতনতা তুঙ্গে
নিজেদের মধ্যে জমছে জঞ্জাল, তা বোধহয় এসব উর্ধে
বিয়ের আগে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, আগে কটা সম্পর্ক, কজনের সাথে ওঠা বসা শোয়া
এসব তথ্যের ওপর ভর করে কেউ আজ ওপেন মাইন্ডেড আর কেউ ছন্নছাড়া
বিয়ের আগে বিয়ের পরে মানুষ পাল্টায় সমাজের ধারণা
গুন কি আদৌ কিছু পাল্টায়, পরিবেশ পরিস্থিতি ছাড়া?
প্রকৃত অর্থে আমি কেমন, জাহিরে আছে মানা
ঐযে এতদিন জমিয়েছি জঞ্জাল, পাছে কেউ না দেয় সাড়া
একা থাকা আর মানুষের কাছে গুরুত্ব না পাওয়ার ভয়, শুরু হয়েছে অভিনব এ খেলা
জঞ্জাল পরিষ্কারে হাত নোংরা হবে, আছে বোধয় মনের মানা
বইয়ের মলাট দিয়ে বই তৈরী হচ্ছে, পড়ার লোক তাই নেই
কাগজের নৌকো নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি, মুখে প্রশ্ন স্থায়িত্ব আমার কোই?
অপরের ওপর নির্ভর করি, প্রশ্ন আমার আনন্দ কোই?
পরিবেশ পরিস্থিতির রচয়িতা আমি, আবার তাকেই দোষ দিয়ে , বাড়ি ফিরে নির্দোষ আমি কোই?