ভ্রমন শুরু হয়েছে অনেকদিন,
চলবে কতদিন, জানিনা, সে যে অন্তহীন।
চঞ্চল মন খালি প্রশ্ন করে,
আলস্য উপভোগের বায়না ধরে,
যান্ত্রিক জীবনে নেই যেন তার স্থান,
ক্ষমা নেই, জানিনা কবে যে মিলবে সন্ধান।।
সময় অন্তরে আবেগরা জমায় ভিড়,
মস্তিকও ঘাড় নাড়ে, বলে হতে হবে আরও ধীর।
ক্লান্তি শুধুই শরীরকেন্দ্রিক নয়,
আবেগের দলে সে যে নতুন আরেকজন।
তকমা কেন্দ্রিক সমাজ আসতে দেয়নি,
সীমিত ছিল শরীরঅব্দি, পর্যন্ত এই ক্ষণ।।
শুনেছি, আবেগতাড়িত জীবনের ন্যায়,
জীবনতাড়িত আবেগ অনেকাংশে শ্রেয়।
বাস্তবে যে তারা কোথায়ে, খুঁজে বেড়াই,
পাই শুধুই যন্ত্রাংশ আর মুখোসের সমন্বয়।।
মন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়, রাতের আঁধারে,
কাড়ে চোখের ঘুম, দুপুরে ঘুমিয়ে পড়লে।
তকমা কেন্দ্রিক সমাজ এরও করেছে নামকরন,
কেউ বলেছে অনিদ্রা, কেউ বা আবার ধকল।।
তবু, তকমা দিয়ে যে আর আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয়ে না,
আড়াল করা যায় মাত্র।
দুপুরে না ঘুমলেও রাতের ঘুম কাড়ে,
এটাই বোধয় আবেগের ধর্ম।।
একান্ত ও নিরিবিলি পছন্দ তার, চুপিসারে করে প্রবেশ,
তকমার ওজনে আত্মহত্যা করে, এমনই নাম না জানা কত আবেগ।।
তকমা কেন্দ্রিক সমাজে সবই কেমন যন্ত্রের ন্যায়,
নেই ক্লান্তির স্থান।
এ সমাজে, মন যেন প্রকৃত শত্রু,
আবেগ ও বোধের জন্ম সে দেয়,
অন্তহীন জীবন যাত্রায় আজ অস্থির মনই সঙ্গি,
যান্ত্রিক জীবন তীব্র গতিমান,মাঝে কোথাও মন্থর আমি।।