ভাবনারা সব, মনের দোরগোড়ায়ে টোকা দেয়,
সময় সাপেক্ষে ভাবমূর্তিও পাল্টায়।
বর্তমানের সাথে অতীতের দন্ধ লাগায়ে, আর
ভুত ও ভবিষ্যতের মাঝে নিজেকে দাড় করায়।।
মন যেন মাঝে মধ্যেই চরিত্র বদল করে,
বর্তমানকে, অতীতের প্রেক্ষাপটে, দাড় করিয়ে রাখে।
যন্ত্রণা, চোখের জল যেন তার অলঙ্কার,
তকমা বদলের ইতিহাসটা বারবার তুলে ধরাই, যেন তার অঙ্গিকার।।
যন্ত্রণা ছিল নিত্যসঙ্গী, পিছু ছাড়েনি আজও,
এরই মাঝে যেন কেউ উঁকি মেরে বলে, বাকি আছে এখন, আরো।।
কেন যে এমন হয়ে, কেনই বা আজ নিরুদ্দেশ,
অতিত যেন পিছু ছাড়ে না, যতই পালটায় ভাব বা দেশ।।
রক্তে মিশছে নিকোটিন, সময় চলেছে বয়ে,
চিকিৎসক বলে ওসব বিষ, আমি ভাসিয়েছি নিজেকে, অভয়ে।
শরীর তো শুধুই বইয়ের মলাট, আত্মার বাস্তব ভাবমূর্তি,
ভুত ও আত্মার যৌথ উদ্দ্যেগে আজ আমি আত্মঘাতী নই কি??
উদাসীনতা বিত্তশালীদের আবেগ, বলে এসেছি চিরকাল,
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আজ দেখ, আমিই সেই আবেগের শিকার।
কর্মকেন্দ্রিক দৈনন্দিনে উদাসীনতা দেয় উঁকি,
সেই তো বোনে নিকোটিনের জাল, যে জালে আত্মঘাতী আমি।।
অতিত বলে, বাক্তিত্ত, চরিত্র এসব চিত্রের মত, পাল্টায়ে না কোনদিন,
একই চিত্র নিয়ে পথ চলা, সৃষ্টি করে আবগী চোখের জল, অন্তহিন।
বইয়ের মলাট তো তুচ্ছ, কেন্দ্রবিন্দু সে যে নয়, আর এখন,
আত্মকেন্দ্রিক প্রচেষ্টার বিকাশে মজেছে মন, তাতেই নিমিত্ত সে সারাটা ক্ষণ।।
স্নেহ, ভালবাসা হয়েছে লুপ্ত কোন সেই শৈশবে,
সময় শুধুই আঘাত হেনেছে, কাছে ঘেঁসতে দেয়নি যে তারে।
স্মৃতিচারণের হাত ধরেই ধুম্র, কখন যে হল সঙ্গী,
ভুত ও আত্মার দোটানায়, আজও আমি আত্মঘাতী।।